স্ক্যাবিস রোগের কারণ কি
স্ক্যাবিস রোগঃ কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার | সম্পূর্ণ গাইড ২০২৫
স্ক্যাবিস (Scabies) একটি সংক্রামক ত্বক বা চামড়া সম্পর্কিত রোগ, যা ইংরেজিতে Sarcoptes scabiei নামের একটি ক্ষুদ্র পরজীবী (mites) দ্বারা ঘটে থাকে। এই পোকাটি ত্বকের উপরের স্তরে গর্ত করে ডিম দেয়, ফলে ত্বকে তীব্র চুলকানি এবং ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
বিশেষ করে রাতে এই চুলকানি অনেক বেশি হয়। স্ক্যাবিস একটি ছোঁয়াচে, এবং একজন আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ হলে এটি দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আলিঙ্গন করা, হাত ধরা, একই বিছানা শোয়া , তোয়ালে, এবং জামাকাপড় ব্যবহার করলেও এই রোগ ছড়াতে পারে।
যদি পরিবারের একজন সদস্য আক্রান্ত হন, তাহলে অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সাধারণত স্বাস্থ্য সচেতনতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে স্ক্যাবিস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শিশু, বৃদ্ধ এবং যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল, তারা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন।
সুচিপত্র
স্ক্যাবিস রোগের লক্ষণ
স্ক্যাবিস একটি ছোঁয়াচে চর্ম রোগ, যা Sarcoptes scabiei নামের এক ধরনের ক্ষুদ্র পরজীবী একধরণের পোকা বা উকুনের কারণে হয়ে থাকে ।
এই উকুন বা পোকা ত্বকের নিচে ডিম পাড়ে এবং সেখানে বেড়ে ওঠে। এর ফলে চুলকানি, ফুসকুড়ি ও জ্বালাভাব সৃষ্টি হতে শুরু করে । সাধারণত, এটি খুব কাছের শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়।
স্ক্যাবিসের সবচেয়ে লক্ষণীয় দিক গুলো হলো শরীরে তীব্র চুলকানি, যা বিশেষ করে রাতের বেলায় বেড়ে যায়। চুলকানির ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে সমস্যা অনুভব করতে পারে।
ত্বকে ছোট ছোট গর্ত বা রেখার মতো দাগ দেখা দিতে শুরু করে , যেখানে পোকা বা উকুন বসবাস করে। এই গর্তগুলো সরু, বাঁকা এবং লালচে ধরণের হয়ে থাকে।
ফুসকুড়ি বা র্যাশ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে, যেমন আঙুলের ফাঁকে, কবজিতে, বগলের নিচে, কোমরের চারপাশে, নাভিতে, স্তনের নিচে বা পুরুষদের যৌনাঙ্গে। শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে মুখ, মাথা এবং হাত-পা সহ শরীরের যেকোনো স্থানে লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
চুলকানি ও ঘষার ফলে অনেক সময় শরীরে ও ত্বকে ক্ষত তৈরি হয়, যা পরে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণে পরিণত হতে পারে। এর ফলে চামড়ায় পুঁজযুক্ত হয়ে দগদগে হয়ে যেতে পারে।
স্ক্যাবিস সাধারণত আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করে, এবং একবার আক্রান্ত হলে পরিবারের অন্যান্য সদস্য বা আশেপাশের মানুষরাও এতে আক্রান্ত হতে পারেন যদি দ্রুত চিকিৎসা না নেওয়া হয়।
স্ক্যাবিস রোগের চিকিৎসা
স্ক্যাবিসের চিকিৎসায় সাধারণত টপিক্যাল এবং ওরাল ওষুধ ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকরী চিকিৎসা হলো পারমেথ্রিন ৫% ক্রিম।
এই ক্রিমটি রাতে গোসলের পর সম্পূর্ণ শুকনো শরীরে লাগাতে হবে, শরীরের কোন অংশ বাদ দেয়া যাবে না । ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর আবার গোসল করতে হবে।
পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও একইভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন , কারণ এই রোগ একজনের মাধ্যমে অন্যদের মধ্যে ছড়াতে শুরু করে ।
আরেকটি কার্যকরী ওষুধ হলো আইভারমেকটিন ট্যাবলেট, যা মুখে খাওয়ার জন্য কার্যকরী একটি মেডিসিন। সাধারণত একবার খাওয়ার ৭ থেকে ১৫ দিন পর আবার এটি খেতে দেওয়া হয়।
যাদের ত্বকে বা চামড়ায় ক্ষত রয়েছে, তাদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক মলম অথবা ট্যাবলেটের প্রয়োজন হতে পারে। চুলকানি কমাতে অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ যেমন সিটারিজিন অথবা লোরাটাডিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে মনে রাখতে হবে, ওষুধ প্রয়োগ করার পরেও কিছুদিন চুলকানি থাকতে পারে। এটি রোগের অবশিষ্ট লক্ষণ, নতুন সংক্রমণ নয়।
স্ক্যাবিসের চিকিৎসায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহৃত জামাকাপড়, বিছানার চাদর, তোয়ালে গরম পানিতে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে।
সংক্রমণ রোধে নিয়মিত হাত ধোয়া, নখ ছোট করে কাটা এবং ঘনিষ্ঠ স্পর্শ এড়িয়ে চলা খুবই জরুরি।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু জ্বর কি এবং কেন হয়?
স্ক্যাবিস কতদিন স্থায়ী হয়?
স্ক্যাবিস একটি চর্মরোগ যা একটি পোকা বা উকুনের কারণে হয়, যাকে স্ক্যাবিস মাইট (Sarcoptes scabiei) বলা হয়।
- এই রোগের সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণ হলো তীব্র চুলকানি, বিশেষ করে রাতে।
- এছাড়াও, শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল চাকা বা ফুসকুড়িও দেখা দিতে পারে।
- তবে স্ক্যাবিস কতদিন স্থায়ী হবে, তা অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
- যদি চিকিৎসা না করা হয়, তবে এই সমস্যা কয়েক মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত থাকতে পারে।
- কারণ, মাইট শরীরে বৃদ্ধি পেয়ে চুলকানি ও ফুসকুড়ি তৈরি করে, যা পরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণও হতে পারে।
- অন্যদিকে, চিকিৎসা শুরু করলে সাধারণত ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে উপসর্গ কমতে শুরু করে এবং সম্পূর্ণ সুস্থ হতে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ লাগতে পারে।
- যদি চিকিৎসা সঠিকভাবে এবং সম্পূর্ণভাবে না করা হয়, তাহলে পুনরায় সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে, ফলে রোগ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায়।
- স্ক্যাবিসের চিকিৎসায় সাধারণত পারমেথ্রিন ক্রীম, আইভারমেক্টিন এবং অন্যান্য অ্যান্টিমাইট ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
- চিকিৎসার পাশাপাশি, দৈনন্দিন জীবনের অভ্যাসেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
যেমন, নিয়মিত কাপড় ও চাদর ধোয়া, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, এবং পরিবারের সকল সদস্যকে একসাথে চিকিৎসা দেওয়া।
স্ক্যাবিস দূর করার ঘরোয়া উপায়
স্ক্যাবিসের সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া উপায়গুলো বেশ কার্যকরী হতে পারে, বিশেষ করে চিকিৎসা শুরু করার আগে সতর্কতা হিসেবে। স্ক্যাবিস একটি সংক্রামক চর্ম বা ত্বক রোগ, যা ছোট পরজীবী স্ক্যাবিস মাইটসের কারণে হয়ে থাকে ।
ঘরোয়া উপায়ে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
- নিয়মিত গোসল করা অত্যন্ত জরুরী । গরম পানিতে গোসল করলে স্ক্যাবিস মাইটস এর জীবাণু মারা যেতে শুরু করে।
- এছাড়া, তাজা লেবুর রস ত্বকে লাগালে ত্বক শুষ্ক হয় এবং মাইটসের উপদ্রব কমে যেতে শুরু করে। লেবুর রস লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
- নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। নারকেল তেলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে যা ত্বককে সুস্থ রাখে এবং মাইটস ধ্বংসে সহায়তা করে। এই তেলগুলো মৃদু হাতে ত্বকে মালিশ করতে হবে।
- জামাকাপড় ও বিছানার চাদর নিয়মিত গরম পানিতে ধুয়ে শুকিয়ে নেয়া উচিত, কারণ মাইটস সেগুলোতে থাকতে পারে।
- আলু রস ত্বকে লাগানো যেতে পারে, যা ত্বককে শীতল রাখে এবং মাইটস দূর করতে সাহায্য করে।
স্ক্যাবিস দূর করার উপায় কী?
স্ক্যাবিস হলো একটি ত্বকের সংক্রামক রোগ, যা ক্ষুদ্র পরজীবী মাইটের কারণে ঘটে। এই মাইট ত্বকের মধ্যে গর্ত করে, ফলস্বরূপ চরম চুলকানি, লাল দাগ এবং ফোসকার সৃষ্টি হয়। স্ক্যাবিস থেকে মুক্তির জন্য কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে:
- ওষুধ সেবনঃ স্ক্যাবিসের চিকিৎসার জন্য সাধারণত 'পার্মেথ্রিন ক্রিম' বা 'আইভারমেকটিন' ব্যবহার করা হয়। ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী পুরো শরীরে এই ক্রিম লাগাতে হয়, বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে। সাত দিন পর আবার এটি ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে।
- ঘরোয়া চিকিৎসাঃ তুলসী পাতা, নারকেল তেল, নিমপাতা এবং ক্যামোমাইল চা পাতা প্রাচীনকাল থেকে স্ক্যাবিস দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এগুলো মূল চিকিৎসার বিকল্প নয় বরং সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা উচিত।
- ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতাঃ নিয়মিত গোসল করা, পরিষ্কার কাপড় পরা এবং ধুলা ময়লা দূরে রাখা অত্যন্ত জরুরি। আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের সবাইকে একসাথে চিকিৎসা নিতে হবে যাতে পুনরায় সংক্রমণ এড়ানো যায়।
- বস্ত্র ও বিছানাপত্র পরিষ্কারঃ আক্রান্ত ব্যক্তির জামা-কাপড় এবং বিছানাপত্র গরম পানিতে ধুয়ে শুকিয়ে রাখতে হবে। সম্ভব হলে, এগুলো কয়েকদিন আলাদাভাবে রাখা উচিত।
- ডাক্তারের পরামর্শঃ স্ক্যাবিস নিজে থেকে সেরে উঠানো বেশ কঠিন, তাই ত্বকের বিশেষজ্ঞ বা সাধারণ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করা আবশ্যক।
স্ক্যাবিস হলে কি কি খাওয়া যাবে না?
স্ক্যাবিস (Scabies) একটি চর্মরোগ, যা স্কেবিস মাইট বা পরজীবী দ্বারা হয়। এটি একটি সংক্রামক অসুস্থতা এবং ত্বকে তীব্র চুলকানি, ফুসকুড়ি, লালচে দাগসহ বিভিন্ন অস্বস্তিকর লক্ষণ সৃষ্টি করে।
স্ক্যাবিসের সময় সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে কিছু নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। এর ফলে রোগ দ্রুত সেরে ওঠে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
স্ক্যাবিসের সময় নিচের খাদ্যগুলো এড়ানো উচিতঃ
- মিষ্টি ও চিনি জাতীয় খাবার। যখন স্ক্যাবিস হয়, তখন মিষ্টির ব্যবহার কমানো ভালো। মিষ্টি খাবার ত্বকে প্রদাহ ও খুশকি বাড়াতে পারে। অতিরিক্ত চিনি মাইটের বৃদ্ধিতে সহায়ক। সুতরাং কেক, মিষ্টি, সোডা এবং ক্যাণ্ডির মতো খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। চিনি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়, তাই সুস্থ থাকার জন্য মিষ্টির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
- ভাজা এবং তেলযুক্ত খাবার। এই ধরনের খাদ্য শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং ত্বকের ফুসকুড়ি বাড়িয়ে তোলে। অতিরিক্ত তেল শরীরের ক্ষতিকারক চর্বি বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে। স্ক্যাবিসের সময়ে এগুলো খেলে সমস্যা আরও গুরুতর হতে পারে। তাই ভাজা ও তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। রান্নার ক্ষেত্রে সেদ্ধ বা ওভেনে বেক করা খাবার বেছে নেওয়া ভাল।
- প্রসেসড ফাস্ট ফুড। পিজ্জা, বার্গার এবং ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো খাবারে অনেক সোডিয়াম এবং রাসায়নিক থাকে। এগুলো ত্বকের প্রদাহ এবং এলার্জি বাড়াতে পারে। স্ক্যাবিসের সময়ে এ ধরনের খাবার ত্বকের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ফাস্ট ফুড থেকে দূরে থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য যেমন তাজা ফল এবং শাকসবজি বেছে নিতে হবে।
- দুধ এবং দুধজাত পণ্য। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এগুলো ত্বকে প্রদাহ এবং এলার্জি বাড়াতে পারে, বিশেষ করে যারা ল্যাকটোজ সহনশীল নয়। স্ক্যাবিসের সময়ে এই ধরনের এলার্জি বাড়লে ত্বকের অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই দুধের পণ্য সীমিত করতে হবে। বিকল্প হিসেবে বাদাম দুধ বা সয়াবিন দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়। এগুলো শরীর থেকে পানি কমিয়ে দেয়, যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে খুশকির সমস্যা বাড়ায়। স্ক্যাবিসের সময়ে ত্বককে সতেজ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। অতিরিক্ত ক্যাফেইন এবং মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে হার্বাল চা বা ফলের জুস বেছে নিন।
পরিশেষে বলা যায়
স্ক্যাবিস থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেসব খাবার ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি বা প্রদাহ বাড়ায়, যেমন মিষ্টি, ভাজাপোড়া, ফাস্ট ফুড, দুধজাত দ্রব্য, অ্যালকোহল এবং অতিরিক্ত ঝাল খাবার সেগুলো পরিহার করা উচিত।
বরং তাজা ফল, শাকসবজি ও পর্যাপ্ত পানি খাওয়া ত্বকের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সঠিক চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যই স্ক্যাবিস নিরাময়ের মূল চাবিকাঠি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url