রিয়েল এস্টেট মার্কেটিং কি?
রিয়েল এস্টেট কোম্পানি আধুনিক নগরায়নের জন্য একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ধরা হয়। বর্তমান বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল নগরজীবন, মানুষের বসবাসের চাহিদা এবং ব্যবসায়িক স্থাপনার প্রয়োজনীয়তার কারণে রিয়েল এস্টেট খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পখাতে পরিণত হয়েছে।
রিয়েল এস্টেট মার্কেটিং হলো একটি পদ্ধতিগত কার্যক্রম যার মাধ্যমে স্থাপনা, ফ্ল্যাট, এপার্টমেন্ট, বাড়ি বা বাণিজ্যিক ভবনসহ সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, ভাড়া বা বিনিয়োগের জন্য প্রচার প্রচারণা করা হয়। বর্তমান সময় হচ্ছে উঁচু উঁচু বিল্ডিং নির্মাণের প্রতিযোগিতা।
বিশেষ করে শহর গুলোতে এসব ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য প্রান্তে রিয়েল স্টেট ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে।
আপনার যদি বড় ধরণের ব্যবসা এবং ঝুঁকি নেওয়ার সক্ষমতা থেকে থাকে, অর্থনৈতিক জ্ঞান থাকে তাহলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারে।
আর বর্তমান সময়ে কিছু অতিরিক্ত জ্ঞান থাকা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরী, যা সংক্ষিপ্ত আকারে নিম্নে তুলে ধরা হলঃ
আধুনিক রিয়েল এস্টেট মার্কেটিং প্রচলিত বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে ডিজিটাল মাধ্যমেও ব্যাপক আকারে বিস্তার লাভ করেছে। যেমনঃ ফেসবুক অ্যাডস, গুগল অ্যাডস, ইউটিউব মার্কেটিং, রিয়েল এস্টেট ওয়েবসাইট, ইমেইল মার্কেটিং ও এসইও মার্কেটিং ইত্যাদি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এখন প্রচুর প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। এতে করে যেমন নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার গ্রাহক পাওয়া সহজ হয়, তেমনি ব্যয়ের পরিমাণও অনেক কমে আসে।
আপনার দলের সদস্যরা যদি এই কাজে যথেষ্ট দক্ষ না হলে এই কাজে সাহায্য করার জন্য একটি এজেন্সি নিয়োগ করা অতীব জরুরী।
রিয়েল এস্টেট মার্কেটিংয়ের প্রচার প্রসার বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা জরুরী।
সেগুলো হলঃ
- আকর্ষণীয় ছবি ও ভিডিও
- প্রকল্পের স্পষ্ট বিবরণ
- লোকেশন হাইলাইট
- মূল্য সুবিধা
- কিস্তি/ফাইন্যান্স সুবিধা এবং
- ক্রেতার রিভিউ নেওয়া।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে রিয়েল এস্টেট সেক্টর দ্রুত সম্প্রসারণ লাভ করছে। শহরাঞ্চলে বাড়ির চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে একাধিক ডেভেলপার কোম্পানিগুলো নতুন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে সঠিক ও কৌশলী মার্কেটিং অপরিহার্য।
সুচিপত্র
- রিয়েল এস্টেট মার্কেটিং কি?
- রিয়েল এস্টেট ব্যবসার লাইসেন্স দিয়ে কি হয়?
- বাংলাদেশের প্রথম রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
- রিয়েল এস্টেট এর কাজ কি?
- রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে?
- রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ কি?
- রিয়েল এস্টেট বলতে কি বোঝায়?
- রিয়েল এস্টেট এজেন্টের সব চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ কাজ কি?
- রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হওয়া কি কঠিন?
- উপসংহার
রিয়েল এস্টেট ব্যবসার লাইসেন্স দিয়ে কি হয়?
রিয়েল এস্টেট ব্যবসার লাইসেন্স একটি সরকারি অনুমোদনপত্র, যা আপনাকে বৈধভাবে জমি, ফ্ল্যাট, বাড়ি বা অন্যান্য সম্পত্তি “কেনা বেচা” ও লিজ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার অধিকার প্রদান করে থাকে।
এই লাইসেন্স ছাড়া কেউ আইনি ভাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করতে পারে না। এটি সংশ্লিষ্ট সরকারি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ যেমন সিটি কর্পোরেশন বা রাজউক থেকে নিতে হয়।
এই সমস্ত দলিল বা কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করতে প্রায় মাস ২ এক সময় লাগতে পারে। সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলে কর্তৃপক্ষ পাঁচ বছরের জন্য একটি নিবন্ধন সনদ বা লাইসেন্স প্রদান করবে।
এই ব্যবসা নিবন্ধনের জন্য আপনার কিছু কাগজ পত্রের প্রয়োজন হবে, আর তা হলঃ
- Trade Licence
- TIN Certificate.
- REHAB কিংবা Land Developers Association এর অধীনে সদস্যপদ।
- Articles of Association এবং Certificate of Incorporation.
একটি বৈধ রিয়েল এস্টেট লাইসেন্স থাকলে ব্যবসা করার সময় ব্যাংকিং ব্যবস্থা, আর্থিক বড় প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থার কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া সহজ হয়। অনেক সময় সরকারী দরপত্র বা বড় প্রজেক্টে অংশ নিতে হলে এই লাইসেন্স অপরিহার্য।
বাংলাদেশের প্রথম রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর ছেলে রাশেদ চৌধুরী। আশির দশকের শেষের দিকে আবাসন খাতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন এবিসির পাঁচ উদ্যোক্তা। ১৯৮৮ সালে এবিসি রিয়েল এস্টেট প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়।
তৎকালীন সময়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর জন্য পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছিল তাঁর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তাঁর যুগোপযোগী চিন্তাধারা এবং একান্ত প্রচেষ্টায় এবিসি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ঢাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য আবাসিক অনাবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্প সফলতার সহিত বাস্তবায়ন করে।
রিয়েল এস্টেট এর কাজ কি?
রিয়েল এস্টেট (Real Estate) হলো এমন একটি খাত যা জমি এবং তাতে স্থাপিত স্থাপনা যেমন ভবন, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান, কারখানা ইত্যাদির সাথে সম্পর্কিত। এই খাতে কাজ করা পেশাদাররা মূলত এপার্টমেন্ট, জমি কেনা, বেচা, ভাড়া দেওয়া এবং উন্নয়ন করার মতো কাজে জড়িত থাকে।
এটি শুধু আবাসনের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বাণিজ্যিক, শিল্প এবং কৃষি জমির ক্ষেত্রেও রিয়েল এস্টেটের ব্যাপক কার্যক্রম রয়েছে।
রিয়েল এস্টেট এর প্রধান কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম কাজ হলো জমি ও সম্পত্তি কেনাবেচা। এ ক্ষেত্রে একজন রিয়েল এস্টেট এজেন্ট ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সংযোগ তৈরি করে, দরকষাকষির মাধ্যমে চুক্তি সম্পন্ন করে এবং লেনদেনের প্রক্রিয়া সহজ করে তোলে।
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশে এই ব্যবসা শুরু করতে সাধারণত ২ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২০ লাখ টাকার বেশি পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
লাইসেন্স এবং নিবন্ধনের খরচ রয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স, কর শনাক্তকরণ নম্বর (TIN), কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য আইনগত কাগজপত্র তৈরি করতে প্রায় ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা খরচ হতে পারে।
একটি ছোট অফিস চালু করতে কমপক্ষে ৫০,০০০ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে অফিস ভাড়া, আসবাবপত্র, কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি।
এছাড়া কর্মচারী নিয়োগ, গ্রাহক ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার, আইনি সহায়তা ইত্যাদি খরচ যুক্ত করলে পুরোপুরি একটি মধ্যম মানের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করতে আপনার আনুমানিক ৫ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে (আনুমানিক হিসেব)।
রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ কি?
রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগের প্রধান তিনটি ধরন রয়েছেঃ আবাসিক এলাকা (Residential Area), বাণিজ্যিক ভবন (Commercial), এবং শিল্প/ইন্ডাস্ট্রিয়াল (Industrial)। আবাসিক বিনিয়োগে ফ্ল্যাট, বাড়ি বা প্লট কেনা এবং তা ভাড়া দেওয়া বা পুনরায় বিক্রি করে লাভ করা।
বাণিজ্যিক বিনিয়োগে থাকে দোকান, অফিস স্পেস, শোরুম ইত্যাদি, যা থেকে ভাড়া বা ব্যবসায়িক চুক্তির মাধ্যমে আয় হয়। শিল্প বিনিয়োগে থাকে ফ্যাক্টরি, গুদাম বা উৎপাদন কেন্দ্রের জমিতে বিনিয়োগ।
রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের অন্যতম বড় সুবিধা হলো এর স্থিতিশীলতা ও সম্পদের নিরাপত্তা। জমি বা ভবনের দাম সাধারণত সময়ের সাথে বাড়ে, যা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীর জন্য বড় ধরনের মুনাফা আনতে পারে।
তাছাড়া, মাসিক ভাড়ার মাধ্যমে প্রতিমাসে নগদ টাকা পাওয়া যায়। এ বিনিয়োগে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে যেমন বাজারে মন্দাভাব, সম্পত্তির আইনগত জটিলতা, অবকাঠামোগত সমস্যাসহ ভাড়াটিয়া না পাওয়া।
তবে, সঠিক পরিকল্পনা ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের ফলে রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ হতে পারে আপনার আয় বৃদ্ধির অন্যতম সফল ও নিরাপদ মাধ্যম।
রিয়েল এস্টেট বলতে কি বোঝায়?
রিয়েল এস্টেট (Real Estate) বলতে এমন সম্পত্তিকে বোঝায় যা ভূমি ও ভূমির সাথে স্থায়ীভাবে সংযুক্ত যে কোনো কাঠামো বা স্থাপনার সমন্বয়ে গঠিত।
এর মধ্যে রয়েছে ভবন, ঘর, দালান, অ্যাপার্টমেন্ট, জমি এবং সেই জমির ওপর নির্মিত অন্যান্য অবকাঠামো অন্তর্ভুক্ত থাকে। সাধারণত রিয়েল এস্টেট বলতে জমি ও সম্পত্তি কেনাবেচা, ভাড়া প্রদান, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার পুরো প্রক্রিয়াকে বোঝায়।
- আবাসিক রিয়েল এস্টেটঃ যেখানে মানুষ বসবাস করে, ফ্ল্যাট, বাড়ি, ডুপ্লেক্স বাড়ি।
- বাণিজ্যিক রিয়েল এস্টেটঃ অফিস, দোকান, শপিং মল, হোটেল/রেস্টটোরেন্ট ইত্যাদি।
- শিল্প এলাকাঃ কল/কারখানা, গুদাম, উৎপাদন ইউনিট স্থাপন করা হয়।
- ব্যবহৃত জমিঃ ফাঁকা জমি, কৃষিজমি, বা ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য ব্যবহৃত প্লট ইত্যাদি।
রিয়েল এস্টেট একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত যা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে। এটি শুধু বসবাসের জায়গা সরবরাহ করে না, বরং বড় আকারে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করে এবং বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
রিয়েল এস্টেট এজেন্টের সব চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ কাজ কি?
একজন রিয়েল এস্টেট এজেন্টের প্রধান দায়িত্ব হলো সঠিক প্রপার্টি খুঁজে পাওয়া এবং তা যথাযথ দামে বিক্রি বা ভাড়া দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
এজেন্ট কে অবশ্যই বিক্রেতার ব্যক্তিগত সকল তথ্য গোপন রাখতে হবে। বিক্রেতা যদি তাঁর ব্যক্তিগত কিছু তথ্য শেয়ার করে যেমন বাড়ির জন্য কত টাকা পেতে চায়, এসব এজেন্ট তাঁর অনুমতি ছাড়া বলতে পারবে না। এজেন্ট কে সকল টাকা এবং বিক্রয় সংক্রান্ত কাগজ পত্রের ট্র্যাকিং করে রাখা জরুরী।
এজন্য তিনি বাজার বিশ্লেষণ করে, জায়গার বর্তমান মূল্য নির্ধারণ করেন, উপযুক্ত ক্রেতা বা বিক্রেতা চিহ্নিত করেন এবং তাদের সঙ্গে কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করেন।
এজেন্টের ভূমিকা শুধু সম্পত্তি খোঁজার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং দলিলপত্র যাচাই, দর-কষাকষি, ব্যাংক ঋণসংক্রান্ত পরামর্শ, এবং আইনগত দিকগুলো পরিষ্কার করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ করে দর-কষাকষি করার দক্ষতাই একজন সফল রিয়েল এস্টেট এজেন্টকে আলাদা করে তোলে। তিনি উভয় পক্ষের চাহিদা বুঝে এমন একটি চুক্তি তৈরিতে সহায়তা করেন যা সকলের জন্য লাভজনক হয়।
রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিশ্বাস অনেক বড় একটি বিষয়। একজন এজেন্টের সততা, পেশাদারিত্ব ও যোগাযোগ দক্ষতা ক্লায়েন্টের আস্থা অর্জনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
একজন ভালো এজেন্ট শুধু একটি চুক্তি সফল করেই দায়িত্ব শেষ করেন না, বরং ভবিষ্যতে ক্রেতার আরও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হওয়া কি কঠিন?
রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হওয়া কঠিন কি না, তা নির্ভর করে ব্যক্তির যোগ্যতা, দক্ষতা, এবং মানসিক প্রস্তুতির উপর। পেশাটি বাইরে থেকে সহজ মনে হলেও বাস্তবে অনেক চ্যালেঞ্জ ও দায়িত্ব জড়িয়ে রয়েছে।
একজন সফল রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হতে হলে শুধু জমি বাড়ি, বেচা কেনার জ্ঞান থাকলেই হবে না; প্রয়োজন হয় মানুষের সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ করার দক্ষতা, ধৈর্য, সততা, এবং বাজার বিশ্লেষণের পূর্ণ স্বক্ষমতা।
একজন নতুন এজেন্টকে কাজের শুরুতে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে সময় লাগে। ক্লায়েন্টদের আস্থা অর্জন করতে না পারলে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে যায়। তাছাড়া শুরুতে পর্যাপ্ত ক্লায়েন্ট না থাকায় আয়ের উৎস অনিশ্চিত থাকে, যা অনেককে মানসিক চাপে ফেলে দেয়।
রিয়েল এস্টেট মার্কেট সম্পর্কে গভীর ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। কোন এলাকায় জমির দাম কেমন, ভবিষ্যতে কোন জায়গার মূল্য বাড়তে পারে, সরকারি নীতিমালা কেমন হতে পারে ইত্যাদি বিষয় জেনে রাখা এজেন্টদের জন্য জরুরী।
আইনগত জটিলতাও রয়েছে। জমি-বাড়ির দলিল, খতিয়ান, নামজারি প্রভৃতি আইনি বিষয় বুঝতে না পারলে ঝুঁকি থেকে যায়। ভুল তথ্য দিয়ে কোনো ক্লায়েন্টকে বিভ্রান্ত করলে আইনগত সমস্যাও হতে পারে।
তবে একবার দক্ষতা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারলে, এই পেশা থেকে ভালো আয় এবং সামাজিক মর্যাদা পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে নেটওয়ার্কিং, সঠিক দিকনির্দেশনা এবং ধৈর্য সহকারে কাজ করাই মূল চাবিকাঠি।
সবকিছু মিলিয়ে বলা যায় যে, রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হওয়া কিছুটা কঠিন হলেও, পরিশ্রমী এবং নিষ্ঠাবান হলে এই পেশায় সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
উপসংহার
রিয়েল এস্টেট খাত বাংলাদেশের মতো দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামোতে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
দ্রুত নগরায়ণ, বসতির চাহিদা, ব্যবসা সম্প্রসারণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য রিয়েল এস্টেট শিল্প এখন আর কেবল বিলাসিতা নয়, বরং প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url