সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে
ওজন বাড়ানোর জন্য সকালে এমন খাবার খাওয়া উচিত যা আমাদের শরীরে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ কাচা ছোলা, কলা, ডিম, খেজুর, মধু, বাদাম-কিশমিশ, পিনাট বাটার, ঘি-চাপা রুটি ইত্যাদি খালি পেটে খেলে শরীরে ক্যালোরির ঘাটতি পূরণ হয় এবং ধীরে ধীরে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া খালি পেটে এসব খাবার খেলে হরমোন নিঃসরণ ঠিক থাকে, পাচনতন্ত্র সক্রিয় হয় এবং শরীরে শক্তি তৈরি হয়।
সকালে খালি পেটে পানি খাওয়ার উপকারিতা
সুচিপত্র
ভেজানো কাচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
ভেজানো কাচা ছোলা খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী, বিশেষ করে সকালে খালি পেটে খেলে এটি শরীরের অনেক বেশি উপকারে আসে। এটি একটি উচ্চ প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ছোলা পেট অনেকক্ষণ ধরে পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এতে করে খাবারের প্রবণতা কমায়। কাচা ছলায় ফাইবার থাকায় এটি হজম শক্তি বাড়ায় ও পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
ছোলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি খাবার। ছোলাতে গ্লাইসেমিক যুক্ত খাবার হওয়ায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ছোলা একটি নিরাপদ খাবার। ছোলাতে আছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফাইবার থাকায় উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে সাথে কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমায়।
ছোলাতে থাকা আয়রন, জিঙ্ক ও ভিটামিন বি৬ মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সরদি-কাশি ও ভাইরাস জনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক। এক কথায়, ভেজানো কাচা ছোলা একটি প্রাকৃতিক, স্বাস্থ্যবান ও পুষ্টিকর খাবার। এটি নিয়মিত সকালে খালি পেতে খেলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য অনেক মোটা তাজা করতে সাহায্য করবে।
ডিম খেলে ওজন বাড়ে
ডিম একটি পূর্ণাঙ্গ পুষ্টিকর খাদ্য, এতে রয়েছে প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পুষ্টি উপাদান। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে বা নাস্তার সময় ডিম খেলে শরীরের মেটাবোলিজম ভালো থাকে এবং শরীরে শক্তি যোগায়। ডিমে রয়েছে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, যা শরীরে পেশি তৈরিতে সাহায্য করে। সকালে ডিম খেলে সারা দিনের কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে।
ডিমের কুসুমে কোলিন নামক উপাদান স্মৃতি শক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক। যারা ক্যালোরি নিয়ন্ত্রনে রাখতে চান তাড়া সেদ্ধ করা ডিম খেতে পারেন। ডিমে থাকা লুটেইন যা চোখের জন্য উপকারী এবং বয়সকালীন চোখের সমস্যা রোধে কার্যকর।
প্রতিদিন সকাল এবং বিকাল বেলায় ২ থেকে ৩ টি করে ডিম খেলে মোটা হওয়ার জন্য ভালো একটি উপায়। কুসুম সহ খেলে বেশি ক্যালোরি পাওয়া যায়, যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। ডিম ভুনা, ডিম দিয়ে পাউরুটি, ডিম পরোটা, এসব রেসিপিতে ডিম খেলে খুব তাড়াতাড়ি শরীরে চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট প্রবেশ করে যা মোটা হবার জন্য উপযোগী।
খেজুর খেলে ওজন বাড়ে
খেজুর একটি অতি প্রাকৃতিক শক্তির উৎস এবং নানা পুষ্টি গুণে ভরপুর একটি ফল। যারা স্বাভাবিকভাবে অনেক খেয়ে ও পরিশ্রম করেও ওজন বাড়াতে পারছেন না, তাদের জন্য খেজুর একটি চমৎকার প্রাকৃতিক সমাধান।
বিশেষ করে সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি যেমন গ্লুকজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ আছে যা শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায়। খেজুরের সঙ্গে ঘি, কাঠবাদাম, কাজু বা চিনাবাদাম মিশিয়ে খেলে অতিরিক্ত পুষ্টি পাওয়া যায় এবং ওজন বাড়াতে দ্রুত সাহায্য করে।
খেজুরে থাকা উচ্চ মাত্রায় ফাইবার যা হজম ক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান হৃদ পিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে। খেজুরে থাকা ভিটামিন বি৬ স্মৃতিশক্তি ও মস্তিস্কের গঠন গত উন্নয়নে সাহায্য করে। খেজুরে প্রচুর আয়রন থাকে, যা রক্ত শুন্যতা প্রতিরোধে কার্যকরী।
কলা খেলে ওজন বাড়ে
যারা শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল বা হালকা-পাতলা, তাদের জন্য কলা খাওয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবান হওয়া সম্ভব। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে বা নাশতার সময় একটি বা দুটি কলা খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কলা একটি সস্তা এবং পুষ্টিকর ফল যা সারা বছর ধরেই সব এলাকায় পাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে ২টি করে কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
চাইলে এতে বাদাম, খেজুর বা সামান্য মধু যোগ করতে পারেন। এটি একটি হাই ক্যালোরি স্বাস্থ্যকর পানীয়, যা মোটা হওয়ার জন্য কার্যকর। কলাতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ, সুক্রোজ), পটাশিয়াম, ভিটামিন B6 ও ভিটামিন C থাকে।
সকালে খালি পেটে কলা খেলে এটি শরীরে তাৎক্ষণিক এনার্জি যোগায়। কলা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যা পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায় সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কলাতে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম রয়েছে, যা উচ্চ-রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকালে একটি করে কলা খাওয়া আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল।
আরও পড়ুনঃ ০১
বাদাম ও কিশমিশ খেলে ওজন বাড়ে
সকালে বাদাম ও কিশমিশ খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই দুটি উপাদান মানব শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বাদাম ও কিশমিশে রয়েছে উচ্চমাত্রার ক্যালরি, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ।
সকালে এই দুটি খাবার নিয়মিত খেলে দেহে শক্তি বাড়ে, যা সারাদিন কর্মক্ষম রাখে। বাদামে আছে উচ্চ মাত্রার ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রাতে ৮থেকে ১০ টি বাদাম ও ২০–২৫ টি কিশমিশ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন (বাদাম এবং কিশমিশ প্রথমে ভালো ভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন)। সকালে খালি পেটে পানি সহ খেয়ে নিন।
বাদাম এবং কিশমিশ অতিরিক্ত খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। প্রতিদিন ১ মুঠো বাদাম ও কিশমিশ খাওয়া যথেষ্ট। এতে আপনি প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ ক্যালরি পাবেন।
তাই, যারা স্বাস্থ্যকর উপায়ে মোটা হতে চান, তাদের জন্য বাদাম ও কিশমিশ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।
পিনাট বাটার ও পাউরুটি
পিনাট বাটার হচ্ছে এক ধরনের উচ্চ-ক্যালোরি এবং উচ্চ-ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার। এতে প্রাকৃতিক ফ্যাট, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের উপাদান বেশি থাকে, যা শরীরে শক্তি জোগায় এবং পেশি গঠনে সহায়তা করে। পাউরুটি সাধারণত কার্বোহাইড্রেটের ভালো উৎস। খালি পেটে সকালে এই দুটি খাবার একত্রে খেলে শরীরের ইনসুলিন লেভেল স্থির থাকে।
ওজন বাড়ানোর জন্য প্রতি দিন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানব শরীরে অতিরিক্ত ৩৫০–৫০০ ক্যালোরি দরকার হয়। পিনাট বাটারের প্রতি টেবিল চামচে থাকে প্রায় ৯৫ থেকে ১০০ ক্যালোরি এবং একটি মাঝারি পাউরুটিতে থাকে প্রায় ৬০–৭০ ক্যালোরি।
পিনাট বাটারে ভালো মানের প্রোটিন থাকে, যা মানব দেহে পেশি গঠন ও পুনর্গঠনে উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা রাখে। পিনাট বাটার ও পাউরুটিতে খাদ্য আঁশ বেশি থাকে যা আমাদের মানব শরীরের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে সাহায্য করে।
ভাতের মাড় খেলে ওজন বাড়ে
যারা অতিরিক্ত দুর্বল এবং হালকা পাতলা শরীর নিয়ে চিন্তিত, তাদের জন্য ভাতের মাড় হতে পারে সহজ, সস্তা ও কার্যকরী সমাধান। ভাতের মাড়ে আছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও সামান্য প্রোটিন, যা শরীরকে এনার্জি দেয় এবং ক্যালরির ঘাটতি পূরণ করতে সহায়ক।
সকালে খালি পেটে ভাতের মাড় খেলে পাচনতন্ত্র সক্রিয় হয় এবং দ্রুত ক্ষুধা বাড়ায়। প্রতিদিন সকালে বাড়তি ক্যালরি গ্রহণের ফলে শরীরে ধীরে ধীরে ওজন বাড়াতে শুরু করে। ভাতের মাড় হালকা এবং সহজে হজম হয়।
ভাতের মাড়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন বি এর উপাদান রয়েছে, যা ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং ব্রণের সমস্যা দূর করে। মাড়ে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম বা কুসুম গরম ভাতের মাড় খান, চাইলে চিনি বা লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন।
গুড়ের পানি সকালে খালি পেটে খেলে ওজন বাড়ে
আপনি যদি দ্রুত মোটা হতে চান তাহলে গুড়ের পানি আপনার শরীর মোটা করতে সাহায্য করবে। এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ একটি প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান। সকালে খালি পেটে গুড়ের পানি খেলে পাচনতন্ত্র সক্রিয় হয়ে ওঠবে।
গুড়ের পানিতে অতিরিক্ত ক্যালরি যা আপনার শরীর কে মোটা করতে সাহায্য করে। ১ গ্লাস ঠাণ্ডা পানিতে ১ টুকরো গুড় সারারাত ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন। এটি নিয়মিত পান করুন, এতে করে আপনার শরীর ওজনের দিক থেকে আস্তে আস্তে উন্নতি দেখতে পারবেন।
আলু ওজন বাড়াতে সাহায্য করে কিভাবে?
আলুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে এবং শরীরের ওজন বাড়ায়। সকালে খালি পেটে সেদ্ধ আলু বা হালকা ভাজা আলু খেলে শরীরে ক্যালোরি যোগ হয়, পুষ্টি সরবরাহ করে এবং ধীরে ধীরে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
তবে অতিরিক্ত তেলে ভাজা বা প্রক্রিয়াজাত আলু (যেমন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই) স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকরভাবে রান্না করা আলুই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়ার জন্য উপযোগী। নিয়মিত সঠিক পরিমাণে আলু খেলে এটি শরীরের গঠন উন্নত করে এবং মানব দেহ ভালো রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে।
তিলের বীজ ওজন বাড়াতে সাহায্য করে
তিলের বীজে রয়েছে উচ্চ ক্যালোরি এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২ চামচ ভাজা তিল অথবা তিল ভেজানো পানি খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি সরবরাহ হয়, যা ধীরে ধীরে পেশি গঠন এবং ওজন বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে যারা শারীরিকভাবে দুর্বল বা হালকা-পাতলা গড়নের, তাঁদের জন্য এটি খুবই কার্যকর একটি খাবার।
গাজরের জুস ওজন বাড়াতে সাহায্য করে
গাজরের জুসে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি ও ক্যালোরি যা শরীরে শক্তি যোগায়। সকালে খালি পেটে পান করলে এটি হজম শক্তি বাড়ায় এবং পেটে জমে থাকা গ্যাস ও টক্সিন দূর করে।
ফলে শরীর পরিষ্কার হয় এবং দ্রুত খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এছাড়া গাজরে থাকা কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।
সকালে খালি পেটে মধু খেলে ওজন বাড়ে
যাদের শরীর অতিরিক্ত দুর্বল, খিদে কম লাগে বা সহজে মোটা হতে পারেন না, তাদের জন্য মধু একটি নিরাপদ এবং প্রাকৃতিক ওজন বৃদ্ধিকারী খাবার।
মধুতে উচ্চ ক্যালোরি ও প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে যা দ্রুত শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে । সকালে খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শরীরের শক্তির ঘাটতি পূরণ হয়।
মধু হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, যা পরবর্তীতে অধিক খাবার গ্রহণে সহায়তা করে এবং ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে শুরু করে।
অ্যাভোকাডো অ্যাভোকাডোর জুস ওজন বাড়াতে সাহায্য করে
অ্যাভোকাডো ফলে রয়েছে স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরে ভালো চর্বি সরবরাহ করে এবং শক্তি বাড়ায়। অ্যাভোকাডো সকালে খালি পেটে খেলে এই ফ্যাট হজমে সাহায্য করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাট রাখতে সাহায্য করে।
ফলে বারবার ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমে আসে, অথচ শরীর পর্যাপ্ত ক্যালোরি পেয়ে থাকে যা আস্তে আস্তে ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।
অ্যাভোকাডোতে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ১৬০ থেকে ১৮০ ক্যালোরি থাকে, যা একটি উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য হিসেবে ধরা হয়।
আরও পড়ুনঃ ০২
মিষ্টি আলু ওজন বাড়াতে সাহায্য করে
মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার। সকালে খালি পেটে মিষ্টি আলু খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় ক্যালরি দ্রুত সরবরাহ হয়। মিষ্টি আলু ধীরে ধীরে হজম হয়, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা একসাথে খুব বেশি বাড়তে পারে না, বরং দীর্ঘসময় ধরে শরীরে শক্তি দেয়।
যারা দ্রুত ওজন বাড়াতে চাচ্ছেন, তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১–২টি সেদ্ধ মিষ্টি আলু খান। চাইলে একটু ঘি বা মাখন দিয়ে খেলে ক্যালরির পরিমাণ আরও বাড়বে, যা ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
১৫ দিনের মধ্যে মোটা হওয়ার উপায়
১৫ দিনের মধ্যে ওজন বাড়াতে হলে আপনাকে উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত, পুষ্টিকর এবং ঘন ঘন খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেমন – বাদাম, কিশমিশ, ঘি, মাখন, দুধ, কলা, আলু, ডিম, পিনাট বাটার ও পাউরুটি। একবারে বেশি পরিমাণ না খেয়ে বারবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস কুসুম গরম দুধের সঙ্গে ১ চামচ মধু, অথবা ভেজানো কিশমিশ ও ছোলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। দুপুরে ভাতের সঙ্গে ঘি, আলু অথবা ডাল খান। বিকেলে পনির, সেদ্ধ ডিম বা মিষ্টি আলু খেতে পারেন। রাতে হালকা কিন্তু পুষ্টিকর খাবার যেমন ডিম, মাছ বা মুরগির স্যুপ খাওয়া শরীরের জন্য বেশি উপকারী।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন এবং কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ঘুম ও বিশ্রাম শরীরের হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা ওজন বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত জরুরি।
পরিশেষে বলতে পারি
নিয়মিত খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম, পানি পান এবং সঠিক নিয়মে হালকা ব্যায়াম অনুশীলন করতে হবে। এতে হজম শক্তি বাড়ে এবং শরীর প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে।
সুতরাং, সকালে খালি পেটে সঠিক খাবার গ্রহণ করলে শরীরের ওজন বাড়বে। স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুললে দীর্ঘমেয়াদে শরীর থাকবে সুস্থ, সবল এবং পরিপুষ্ট।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url