কিভাবে কোটি টাকা আয় করা সম্ভব

আউট সোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং করে বর্তমানে অল্প সময়ের মধ্যে কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। কারণ ইন্টারনেট থেকে আয় অর্থাৎ অনলাইন থেকে আয় এখন আর কোন অবাস্তব বা কঠিন কাজ নয়। পুরো বিশ্বে রয়েছে এর প্রভাব। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটে কাজ করে আয় উপার্জন করে খুব-ই সফল হচ্ছে। কোন বাধা ধরা নেই বলে অনলাইন এর কাজ গুলো দিন দিন ব্যাপক  জনপ্রিয়তা লাভ করছে। অনলাইনে আয়ের ব্যাপারটা খুব সহজ নয় আবার খুব কঠিন ও নয়। বর্তমান যুগে অনলাইনে কাজ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ গুলোর জন্য খুবই সম্ভাবনাময় একটি শিল্প।

অনলাইনে আয় বলতে সাধারণত ইন্টারনেটে কাজ করে আয় উপার্জনকেই বুঝায়। এই কাজ বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। এটা হতে পারে লেখালেখি বা ক্লিক করা আবার হতে পারে কোন পণ্য বিক্রয় করা ইত্যাদি।

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটটি করে কোটি টাকা আয় করার গোপন টিপস

সূচিপত্রঃ

অনলাইনে আয় বলতে কি বোঝায়?

গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ

অনলাইনে আয় বলতে কি বোঝায়?

ডিজিটাল মার্কেটিং করে কোটি টাকা আয়


বাংলাদেশে অনলাইনে আয়ের সম্ভাবনা

বাংলাদেশে মাত্র কয়েক বছর আগে মনে করা হতো যে অনলাইনে আর্নিং একটা ভ্রান্ত ধারনা বা এটা গল্পের ব্যাপার। আমাদের দেশে এখন অনেকেই অনলাইনে কাজ করার মাধ্যমে ভালভাবে জীবিকা নির্বাহ করছে। অনলাইনে আয় করা জন্য আপনাকে কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। দক্ষ ও অদক্ষ যে কেউ পারে এই পদ্ধতিতে কাজ করে আয় করতে। অনলাইনে আর্নিং সবার জন্য উন্মুক্ত।

ইন্টার নেট থেকে প্রাপ্ত কাজ গুলোর প্রকারভেদ

ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত কাজ গুলো কে মুলত তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে

১. কোন প্রকার দক্ষতা ছাড়া কাজ

২. অপেক্ষা কৃত কম দক্ষতা সম্পন্ন কাজ

৩. যে কোন প্রকার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কাজ করা।

অনলাইনে আয়ের জন্য যোগ্যতা

অনলাইনে আয় করার জন্য শুধু যে দক্ষতা থাকতে তা নয় আপনার অবশ্যই যোগ্যতাও থাকতে হবে। অনলাইনে আয় করার জন্য আপনার খুব বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন হবে না।

আপনি যদি অনলাইনে কাজ করার জন্য মনোনিবেশ করেন এবং কোটি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে নিচের এই ৪ তা গুণ আপনার মাঝে থাকতে হবে।

৪ টি গুন নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল

১. বিশ্বাস

অবশ্যই বিশ্বাস রাখতে হবে যে অনলাইন একটি আয়ের মাধ্যম। যেখান থেকে নিজস্ব উদ্যোগ, চেষ্টা, দক্ষতা এবং যোগ্যতাকে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারবেন। কারণ অনলাইনে থেকে আয় করা কোন অবাস্তব বা কাল্পনিক কোন বেপার নয় বর্তমান এই সময়ে। শুধু আপনার সময়, শ্রম, দক্ষতা এবং বিশ্বাসী আপনাকে অকল্পনীয় সফলতা আর আপনাকে বানাতে পারে প্রচুর অর্থ বিত্তের মালিক।

২. ধৈর্যশীলতা

অনলাইন আয় একটি সময় সাপেক্ষ এবং ধৈর্যশীলতার কাজ ও বটে। যারা খুব অল্প সময়ে অনেক টাকা আয় করতে চান তাদের জন্য এ পথ নয়। কারণ এখানে সাফল্য পেতে প্রথম দিকে আপনাকে অনেক সময় এবং  ধৈর্য্যের পরিচয় দিতে হবে। হয়ত আপনি দেখবেন আপনি অনেক দিন যাবত কাজ করেও সফল হতে পারছে না। সেই ক্ষেত্রে আপনি আপনার ভুল গুলো খুজে বের করার চেষ্টা করুন।

৩. সততা

আপনি পৃথিবীর যেখানেই থাকুন না কেন সততা ছাড়া আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে কখনো পৌছাতে পারবেন না। 

৪. আত্ম বিশ্বাস 

অনলাইন আয়ের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস খুব ই জরুরী কারণ এখানে আপনাকে আপনার নিজের দক্ষতা এবং শ্রম কে কাজে লাগিয়ে আয় করতে হয়, সেক্ষেত্রে আপনাকে নিজের উপর অবশ্যই বিশ্বাস আনতে হবে যে এই কাজের জন্য আপনি উপযোগী কিনা? 

কারণ বিশ্বাস ছাড়া আপনার এখানে কাজ নিরবাচন এবং তা সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে দিদ্ধাগ্রস্থ হবেন। তাই আপনাকে প্রথমে নিজের উপর বিশ্বাস আনতে হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ

গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে কোটি টাকা আয় করা সম্ভব এবং সত্য। তবে এর জন্য আপনার প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত, দক্ষতা এবং পরিশ্রম। গ্রাফিক্স এর ক্ষেত্রে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল দক্ষতা অর্জন করা। 

গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে যে সব টুলস অর্থাৎ সফট ওয়্যার ব্যবহৃত হয় সেগুলো হলোঃ

অ্যাডোবি, ইলাস্ট্রেটার, ফটোশপ, ফিগমা ইত্যাদি। 

এসব টুলসের মাধ্যমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে ডিজাইন এজেন্সি গড়ে তুলতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এ অভিজ্ঞতা অর্জনের পর একটি দক্ষ টিম গড়ে তুলতে হবে। 

এতে বহুগুণে আপনার আয়ের পরিমাণ বাড়বে। এছাড়া প্রি মেইড টেমপ্লেট, লোগো প্যাক, আইকন সেট ইত্যাদি তৈরি করে Creative market, envato elements বা etsy তে বিক্রি করা যায়। 

অভিজ্ঞ ডিজাইনাররা তাদের কৌশল কাজে লাগিয়ে কোর্স তৈরি করে Teachable, udemy বা নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারে।

নিজের পোর্টফোলিও, সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি এবং ক্লায়েন্ট দের সঙ্গে পেশাদারিত্বের সহিত আচরণ একটি ব্রান্ড ভ্যালু তৈরি করতে সক্ষম।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে কোটি টাকা আয়

বর্তমান প্রযুক্তির এই বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি সম্ভাবনীয় খাত, যা মানুষের জীবন মান উন্নয়নে আমুল পরিবর্তন এনেছে। এটি শুধু একটি মার্কেটিং কৌশল নয়, বরং উদ্যোক্তা এবং পেশা জীবীদের জন্য কোটি টাকা আয় করার সম্ভাবনায় পথ। 

এটি অনলাইন মাধ্যমে পণ্য বা সেবা প্রচার করার প্রক্রিয়া। ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়গুলোর অন্তর্ভূক্তঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ইমেইল মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং, Google Ads, Facebook Ads, Instagram Marketing অন্তর্ভূক্ত।

আপনি যদি দক্ষতার দিক দিয়ে SEO, Facebook Ads অথবা গ্রাফিক ডিজাইন ভালো জানেন, তাহলে আপনাকে মার্কেটিং প্লেস Fiverr, Upwork এবং Freelancer এর মাধ্যমে ক্লায়েন্ট থেকে মোটা অংকের ইনকাম করা সম্ভব।

কনটেন্ট লিখে কোটি পতি হওয়া যায়

বর্তমান ডিজিটাল যুগে কনটেন্ট লিখা শুধু সৃজনশীলতার মাধ্যমেই নয়, এটি একটি লাভজনক পেশা হয়ে উঠেছে। অনেকে কনটেন্ট লেখার মাধ্যমে লক্ষ কোটি টাকা আয় করছেন। তবে কোটি পতি হওয়া রাতারাতি সম্ভব নয়, এর পেছনে রয়েছে কৌশল, ধৈর্য, পরিশ্রম প্রয়োজন।  প্রথমে আপনাকে লেখালেখির উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 

বাংলা এবং ইংরেজি তে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। SEO, Copy Righting, Blogging এবং স্ক্রিপ্ট রাইটিঙের মতো স্কিলও শিখে নিতে হবে। সকল বিষয়ে লিখে সফল হওয়া কঠিন। আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ''নিশ'' বেছে নিতে হবে, তার মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং, ছাঁদ বাগান,স্বাস্থ্য সেবা, প্রযুক্তি। এতে আপনি সেসব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠতে পারবেন এবং পাঠকদের আস্থা অর্জন করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ অনলাইনের মাধ্যমে বিজনেস করার সুযোগ-সুবিধা

স্বর্ণালঙ্কার জমা করে রাখা

স্বর্ণ কে আমরা সহজ ভাসায় সোনা বলে চিনি, ইংরেজিতে বলা হয় (Gold) স্বর্ণালঙ্কার জমা করে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, স্বর্ণালঙ্কার এর চাহিদা দিন দিন বেরে চলছে এবং এর মূল্য দিন কে দিন বেরে চলেছে। স্বর্ণালঙ্কার পৃথিবীর মধ্যে একটি অতি মুল্যবান একটি সম্পদ। 

কখন স্বর্ণ উচিতঃ বিশ্বব্যাপী যখন অর্থনৈতিক মন্দা চলে আসে তখন অন্যান্য বিনিয়োগের মূল্য কমে যায় কিন্তু তখনও স্বর্ণ তার যথাযথ মান ধরে রাখে। বিভিন্ন ধর্মীয় এবং বিয়ের মৌসুমে স্বর্ণের চাহিদা বেশি থাকে, তাই যখন বাজারে স্বর্ণ কেনার চাপ কম থাকে তখন স্বর্ণালঙ্কার কেনা উচিত।

বাংলাদেশে মুলত ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রচলন সবচেয়ে বেশি। স্বর্ণের বিশ্ববাজার এবং স্থানীয় বাজার যখন কম থাকে তখন স্বর্ণালঙ্কার কেনা খুব ই লাভজনক।

গরুর খামার করে কোটিপতি

আমাদের দেশে গরুর খামার একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বাণিজ্য। যা আপনার সঠিক সু পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে  অল্প সময়ের মধ্যে আপনাকে কোটি পতি বানাতে পারে।

আপনার ব্যবসার সফলতার মুল স্তম্ভ হল সুচিন্তিত পরিকল্পনা এবং পরিশ্রম। আপনার খামারের ধরন কেমন হবে সেটি আগে নির্ধারণ করুন (দুধের জন্য, নাকি মাংসের জন্য)। 

৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ছোট পরিসরে খামার শুরু করতে পারেন। এই অর্থে ৫-১০ টি গরু, গরুর বাসস্থান এবং খাদ্যের খরচ মেটানো সম্ভব।

আপনি কি ধরনের গরু নির্বাচন করবেন?

গরুর খামারে লাভবান হতে হলে প্রথমে আপনাকে উন্নত জাতের গরু নির্বাচন করতে হবে। উন্নত জাতের গরুর মধ্যে রয়েছে, শাহিওয়াল, ফ্রজিয়ান, জার্সি এবং উন্নত জাতের সংকর গরু পালন করা আপনাকে লাভবান করবে।

রিয়েল এস্টেট বিজনেস করে কোটি টাকা আয়ের উপায়

রিয়েল এস্টেট বিজনেস বলে যা বোঝায় তাহলো, যেকোনো সম্পত্তি, দালান-কোঠা, বারি-ঘর, আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত ব্যবসার কার্যক্রমকে মুলত রিয়েল এস্টেট বিজনেস বলে।

রিয়েল এস্টেট বিজনেস এর ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। আপনাকে কম দামে জমি কিনে, সেই জমির কিছু প্রয়োজনীয় উন্নতি ও সংস্কার করে বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। এর জন্য বাজারের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং ভালো ধারনা রাখতে হবে।

আবাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পত্তি কিনে ভাড়া দেওয়া আপনাকে দীর্ঘ মেয়াদি এবং স্থিতিশিল নিশ্চিন্ত আয়ের উৎস হতে পারে। 

জমি কিনে আপনি সেখানে আবাসিক-অনাবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন তৈরি করে বিক্রি করা রিয়েল এস্টেট এর সবচাইতে লাভজনক দিকগুলোর একটি। আর এতে অনেক অর্থ এবং আপনার অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে।

আরও পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর সুযোগ সুবিধা

রড সিমেন্ট এর ব্যবসা করে কোটি টাকার ইনকাম

রড সিমেন্ট সংরক্ষনের জন্য আপনাকে প্রথমে একটি উপযুক্ত গোডাউন থাকা অতীব জরুরী। রড এবং সিমেন্ট খোলা জায়গায় রাখা যায় না, শুষ্ক জায়গায় রাখতে হয়। রড সিমেন্ট এর ব্যবসা করে কোটি টাকার ইনকাম করা সম্ভব। তবে এর জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, বাজার বিশ্লেষণ, উচ্চ মানের পণ্য সরবরাহ এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। 

রড সিমেন্ট এর চাহিদা সারা বছর থাকলেও নির্মাণ মৌসুমে এর চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে যায়। আপনার ব্যবসা শুরু করার আগে এলাকার নির্মাণ প্রকল্প, রিয়েল এস্টেট, ঠিকাদার দের চাহিদা বুঝে পরিকল্পনা করতে হবেয।  

বাজারে প্রতিষ্ঠিত যেগুলো ব্রান্ড রয়েছে যেমনঃ BSRM, AKS, ABUL KHAIR, HOLCIM, CROWN CEMENT ইত্যাদির ডিলার হলে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করা যায়। এসব বড় ব্রান্ড দের সঙ্গে চুক্তি করে আপনি অধিক পরিমাণে মাল কিনে কম দামে বিক্রি করে, লাভের পরিমাণ বাড়াতে পারবেন। 

প্রথমবস্থায় লাভ কম করার চেষ্টা করুন, ধীরে ধীরে ব্যবসার পরিধি বড় হলে লাভ বাড়বে। সেই লাভের একটি অংশ দিয়ে আপনার নিজস্ব সুবিধা মতো ট্রাক, ট্রাক্টর, লড়ি গাড়ি কেনার উপর বিনিয়োগ করতে পারেন।

রড সিমেন্ট এর ব্যবসাকে দ্রুত পরিসরে প্রচার ও প্রসার করার জন্য আপনি অনলাইন মার্কেটিং করতে পারেন। যেমনঃ ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, লোকাল বিজনেস মার্কেটিং এর মাধ্যমে নির্মাণ খাতের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে পারেন। সঠিক কলা কৌশল ও পরিশ্রম থাকলে রড সিমেন্টের ব্যবসা থেকে অল্প সময়ের মধ্যে কোটি টাকার আয় করা সম্ভব।

মেডিসিন ব্যবসা

মেডিসিন ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। তবে সফল হতে হলে সঠিক সু পরিকল্পনা, ধৈর্য-অধ্যাবসায়, আইন-সম্পর্কিত জ্ঞান এবং মানব সেবার স্বদিচ্ছা থাকা অত্যন্ত জরুরী। মেডিসিন ব্যবসা শুরু করার আগে ড্রাগ লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স, এবং BSMU/DHS এর অনুমোদন নিতে হবে। 

বাজারে অনেক নকল ও নিম্ন মানের ওষুধের চাহিদা আছে, সেগুলো কে আপনি এড়িয়ে চলুন। আপনাকে বাজারের বিশ্বস্ত ডিলার থেকে আসল মেডিসিন বিক্রি করলে গ্রাহকের (আপনার দোকানের প্রতি) আগ্রহ বাড়বে এবং আপনার মেডিসিন ব্যবসা দীর্ঘস্থায়ী হবে।

মোবাইল ও কম্পিউটার বিজনেস

মোবাইল ও কম্পিউটার আমাদের জীবনে একটি অপরিহার্য একটি অংশ। আর তাই এই ব্যবসা করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে লাভবান হওয়া সম্ভব। 

এই ব্যবসা করার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে জানা। কোন কোন এলাকায় কি ধরনের পণ্য বেশি চলে,  মোবাইল, কম্পিউটার, যন্ত্রাংশ গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে।

আপনাকে শুরুতে অল্প পরিসরে ছোট দোকান বা স্টোর খুলতে হবে। অল্প অল্প করে লাভের একটি অংশ দিয়ে পুনরায় বিনিয়োগ করে পণ্যের পরিমাণ বাড়াতে হবে। আপনার বিশ্বস্ততা গড়ে তোলা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

আপনি যদি ভালো সার্ভিসিং গ্রাহক কে দিতে পারেন তাহলে গ্রাহক আবারও আপনার কাছে ফিরে আসবে এবং অন্য কেউ রেফার করবে। 

যখন ব্যবসা লাভ আশা শুরু করবে তখন শাখা খুলার চেষ্টা করুন। বাজারে ব্রান্ড তৈরি করে আস্থা তৈরি করুন। আপনাকে শুধু বিক্রেতা হলে হবে না, ডিস্ট্রিবিউটর ও আমদানিকারক হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

মৎস্য চাষ করে কিভাবে কোটি টাকা আয় করা যায়

মৎস্য চাষ করে কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা দিন কে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি শুধু এখন পারিবারিক বা ক্ষুদ্র পরিসরে চাষ হচ্ছে না বরং এটি একটি লাভজনক বাণিজ্যিক চাষাবাদ হিসেবে গড়ে উঠেছে। সঠিক পরিকল্পনা , উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও বাজার বিশ্লেষণের মাধ্যমে যে কেউ এই মৎস্য খাতে উদ্যোক্তা হতে পারে।

মৎস্য চাষ করার ক্ষেত্রে আপনার প্রথম কাজ হবে উপযুক্ত জমি অথবা পুকুর নির্বাচন করা। আপনার যদি ব্যক্তি গত জমি বা পুকুর না থাকে সেক্ষেত্রে ভাড়া কিংবা লিজ নিতে হবে। শুরুতে ১-৩ বিঘা পুকুর তৈরি করে মাছ চাষ শুরু করা উচিত। 

সুস্থ এবং রোগ বিহিন মাছ বাজার জাত করার ক্ষেত্রে আপনাকে কয়েকটি জিনিস পর্যালোচনা করতে হবে, পুকুরের পানি ধরে রাখার ক্ষমতা, PH Level ঠিক আছে কিনা তা পর্যালোচনা করা জরুরী। পুকুর প্রস্তুতির পর জীবাণুনাশক ব্যবহার করে মাছ ছাড়ার জন্য উপযোগী করে তুলতে হবে। 

এরপর মাছের জাত নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ। পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, রুই, কাতলা, মৃগেল দেশিও জাত ছাড়াও হাইব্রিড জাতের মাছ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বেশি মাছ উৎপাদন করা সম্ভব। 

একজন উদ্যোক্তা যদি বছরে ১৫-৩০ টন মাছ উৎপাদন করতে পারে এবং প্রতি কেজি মাছ ১৪০ টাকা ধরে বিক্রি হয়, তবে বার্ষিক আয় প্রায় ২৫-৩৫ লাখ টাকা হতে পারে (সম্ভাব্য) হিসেবে।

ইলেক্ট্রিক সামগ্রি বিজনেস করে কোটি টাকা আয় করা

বর্তমান সময়ে ইলেক্ট্রিক সামগ্রির চাহিদা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। ঘরবাড়ি, অফিস, আদালত, কল কারখানা প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ প্রয়োজন, সেই সাথে প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রিক সামগ্রি যেমন-   বৈদ্যুতিক  সুইচ, প্লাগ, বৈদ্যুতিক তার, এল ই ডি লাইট, ফ্যান, সার্কিট, ইনভার্টার ইত্যাদি ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে এই ব্যবসায় অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা, দক্ষতা, মেধা ও পরিশ্রম এবং বাজার বুঝে ব্যবসা শুরু করলে ইলেক্ট্রিক সামগ্রি ব্যবসা থেকেই কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। 

গার্মেন্টস ব্যবসা করে কোটি টাকা আয় করার উপায়

গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের একটি অন্যতম সর্ব বৃহৎ ও লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসার মাধ্যমে সঠিক পরিশ্রম, পরিকল্পনা ও দূরদর্শিতা দিয়ে অনেকে কোটি টাকা আয় করেছে। গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে সর্ব প্রথম বাজার পর্যালোচনা করতে হবে। 

কেমন ধরনের পোশাকের চাহিদা বেশি (টি শার্ট, জিন্স প্যান্ট, শাড়ি, কুর্তি ইত্যাদি)। কোন বয়স বা লিংগভিত্তিক পোশাকে লাভ বেশি এবং কোন কোন দেশে এক্সপোর্টের সুযোগ বেশি এসব কিছু বিশ্লেষণ করা উচিত।

 গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করতে কিছু পুঁজি দরকার হবে। ছোট পরিসরে শুরু করলে ৭-১০ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এসবের জন্য আপনার প্রয়োজন মেশিন (সেলাই মেশিন, কাটিং টেবিল, ইস্ত্রি মেশিন), কারখানার স্থান এবং শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে। গুণগত মান বজায় রাখতে দক্ষ কর্মী নিয়োগ করা অতীব জরুরী।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url