বিদেশি মুদ্রা বেচাকেনা ও ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি

ডলারের ব্যবসার শরয়ী হুকুম

প্রশ্নঃ অনেকে ব্যবসা করার জন্য সিঙ্গাপুরে যায় এবং সেখান থেকে ডলার কিনে নিয়ে আসে। সেই ডলার বাংলাদেশের লোকদের নিকট ছাপান্ন টাকা অথবা কিছু কম বাঁ বেশি টাকায় বিক্রি করে। তাতে অনেক সময়ই লাভ হয়, আবার লোকসানও যায়। শরিয়তের দৃষ্টিতে এভাবে ব্যবসা করা বৈধ কি না?

 

উত্তরঃ দেশি নোট থেকে বিদেশী নোট ভিন্ন ধরণের হওয়ার কারণে ইসলামের দৃষ্টিতে তা কম বেশি করেও বেচা কেনা করা যায়েজ। যেমন এক ডলার দিয়ে কেউ বাংলাদেশি ৬০ টাকা গ্রহণ করলো, এটা যায়েজ। এক্ষেত্রে ক্রয় বিক্রয়ের সময় অন্ততঃ এক পক্ষের টাকা হস্তগত হওয়াই যথেষ্ট। সুতরাং, প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে সিঙ্গাপুর থেকে ডলার কিনে এনে এদেশীয় টাকায় কম বেশিতে ব্যবসা করা যায়েজ।

সরকারি বৈধ আইনের প্রতি লক্ষ্য রাখাও কর্তব্য। তাই ডলার ক্রয় বিক্রয়ের সরকারি নিয়ম কানুনের প্রতিও খেয়াল রাখা চাই।

তবে একই দেশের টাকার লেন দেনের বেলায় কম বেশি করা যাবে না। যেমনঃ বাংলাদেশি ১০০ টাকার নোট নিয়ে কেউ ৯০ টাকা গ্রহণ করলো, এটা যায়েজ নয়। দেশি ছেঁড়া বা ত্রুটি পূর্ণ টাকা পরিবর্তন করাও বেচা কেনার মধ্যে শামিল। সুতরাং, ১০০ টাকার ছেঁড়া নোট দিয়ে ৯০ টাকা গ্রহণ করা সুদের মধ্যে গণ্য হবে। এজন্য উভয়ে  গুনাহগার হবে। সুতরাং, উক্ত নোটের বদলে ১০০ টাকাই ফেরত নিতে হবে।


 প্রমাণসমূহঃ

 ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া; খণ্ড ২য়, পৃষ্ঠা ১৫৭

 জাওয়াহিরুল ফিকহ ৪:৩৪৭

 জাদীদ ফিকহী মাসায়িল ২:২৩২

 মাজাল্লাতু ফিকহিল ইসলামী ৪:৬০০

মূল লেখকঃ

হযরত মাওলানা মুফতী মনসূরুল হক 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url