কীভাবে ভালো কবুতর পালন করা যায়?

ভালো কবুতর পালন করার নিয়ম, খাবার, প্রজনন ও যত্নের পূর্ণ গাইড

কবুতর পালন করার জন্য কিছু নিয়ম ও যত্নের বিষয়ে খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরী। প্রথমে যে বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে সেটি হল, একটি নিরাপদ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন খাঁচা কিংবা ঘর তৈরি করা। সেখানে যেন ভালো ভাবে আলো ও বাতাস চলাচল করতে পারে এবং রোদ ও বৃষ্টি থেকে যেনো নিরাপদে থাকে। খাঁচা বা ঘর নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে, যেন কোনো রোগ-জীবানু সংক্রমণ ঘটাতে না পারে।

কীভাবে-ভালো-কবুতর-পালন-করা-যায়

সূচিপত্র

খাবার গ্রহণের বেলায় বিশেষ ভাবে দৃষ্টি দেওয়া দরকার। কবুতরকে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার যেমনঃ গম, ভুট্টা, সরিষা, মুগডাল অথবা খেশারী ডাল দিতে হবে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানির  ব্যবস্থা নিশ্চিত করাও অপরিহার্য। 

কবুতরের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য সময়মতো টিকা দেওয়া এবং প্রয়োজনে পশু চিকিৎসকের সেবা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। 

কবুতরের শারীরিক অবস্থার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অসুস্থতা, অলসতা বা খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

প্রজননের জন্য উপযুক্ত জোড়া নির্বাচন করে তাদের আলাদা স্থানে রাখা এবং ডিম ফোটার পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

সুস্থ কবুতর কিভাবে পালন করব?

সুস্থ কবুতর পালন করা শুধু খাদ্য দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং এর জন্য একটি সঠিক পরিবেশ, নিয়মিত যত্ন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। প্রথমে, কবুতরের জন্য আলো বাতাস চলাচল করতে পারে এমন এবং রোদ-বৃষ্টি থেকে সুরক্ষিত একটি বাসা তৈরি করা জরুরি। 

এই বাসাটি সপ্তাহে অন্তত একবার পরিষ্কার করতে হবে, যাতে ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবীর প্রকোপ  বেড়ে না যায়। 

সুস্থ কবুতর রাখতে হলে মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্যে গম, ভুট্টা, মসুর ডাল, খেসারির দানা, সরিষা এবং সাদা তিল যুক্ত করা যেতে পারে। 

এর সাথে অবশ্যই পরিষ্কার পানি দিতে হবে। মাঝে মাঝে ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট দেওয়া দরকার, এতে করে কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। 

কবুতরের স্বাস্থ্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি হঠাৎ করে ওজন কমে যায়, ডানা ঝুলে যায় বা খাওয়ার প্রতি অরুচি দেখা দেয়, তাহলে সাথে সাথে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া, প্রতি তিন মাস পর পর কৃমিনাশক ওষুধও দেওয়া উচিত। 

বাচ্চা কবুতরের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কারণ তারা রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে থাকে। 

শেষে, ভালোবাসা ও মনোযোগ দিয়েই একটি সুস্থ ও কার্যকর কবুতর খামার তৈরি করা সম্ভব।

কবুতরের জন্য কোন ধরনের খাবার আদর্শ?

কবুতরের সুস্থতা এবং প্রজনন ক্ষমতা বজায় রাখতে সঠিক এবং পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। সাধারণত, কবুতরের জন্য শস্যজাতীয় খাবার সবচেয়ে উপযুক্ত। 

এর মধ্যে রয়েছে গম, ভুট্টা, ধান, বাজরা, সরিষা, মসুর, মুগ ডাল। এই খাবারগুলোই তাদের প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাটের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। 

গম এবং ভুট্টা কবুতরের শক্তির প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে। ধান কবুতরের হজম প্রক্রিয়াই সাহায্য করে এবং সহজেই খাওয়া যায়। মসুর, মুগ ডাল এবং ধান সহ অন্যান্য ডালজাতীয় খাবারে প্রচুর প্রোটিন থাকে, যা ডিম উৎপাদন করতে এবং বাচ্চাদের বড় করতে সাহায্য করে। 

এছাড়া, পাথর কুঁচি (গ্রিট) বা ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার, যেমন চুনাপাথর এবং কাঁকড়, কবুতরের হজমে সহায়তা করে এবং ডিমের খোলকে শক্তিশালী করে। 

প্রতিদিন পরিষ্কার পানি সরবরাহ করা অত্যাবশ্যক। মাঝে মাঝে ভিটামিন ও খনিজ মিশ্রিত টনিক দেওয়া উচিত, যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করে। 

পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতা এবং সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কবুতরের স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়, ফলে তারা দীর্ঘ সময় ধরে উৎপাদনশীল থাকে। তাই, সুষম এবং বৈচিত্র্যময় খাদ্যই কবুতরের জন্য আদর্শ। 

কোন জাতের কবুতর বছরে সবচেয়ে বেশি বাচ্চা দেয়?

যারা কবুতর পালন করতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য একটি অতি লাভজনক জাত হলো হোমার (Homer) কবুতর। এই হোমার জাতের কবুতর বছরে অনেক বেশি বাচ্চা দিয়ে থাকে এবং প্রজননে খুবই পারদর্শী। 

সাধারণত, একটি সুস্থ হোমার জোড়া কবুতর বছরে ১০ থেকে ১২টি বাচ্চা উৎপাদন করতে সক্ষম, অর্থাৎ ৫ থেকে ৬টি জোড়া । 

প্রতিটি দম্পতিতে সাধারণত দুটি করে ডিম পাড়ে এবং সেগুলো থেকে দুইটি বাচ্চা ফোটে। 

হোমার কবুতরের একটি বিশেষত্ব হলো, এরা দ্রুত ডিম পাড়ে এবং নতুন ডিম পাড়ার আগে পুরনো বাচ্চাগুলোর প্রতি যত্নও নেয়। তাদের প্রজনন চক্র ছোট হওয়ায় তারা বছরের বেশিরভাগ সময় ডিম পাড়তে সক্ষম তা অর্জন করে। 

অনেক খামারী বাণিজ্যিকভাবে হোমার কবুতর পালন করে তাদের এই ক্ষমতার কারণে, এবং তাঁরা বেশি আগ্রহী। 

তবে, শুধু জাতের বিষয়ই নয়, বাচ্চা উৎপাদনের জন্য সঠিক খাদ্য, পরিচর্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্পূর্ণ পুষ্টি, পরিষ্কার পরিবেশ এবং যথেষ্ট আলো-বাতাস পেলে হোমার কবুতরের প্রজনন ক্ষমতা অনেক বাড়ে। 

সব মিলিয়ে, যারা বেশি বাচ্চা উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কবুতর পালন করতে চাচ্ছেন, তাদের উচিত হবে হোমার জাতের কবুতর লালন পালন করা। 

কবুতরের বাচ্চার আদর্শ খাবার কোনটি?

কবুতরের বাচ্চা প্রথম যখন জন্ম নেয়, তখন প্রথম ৮ থেকে ১০ দিন তারা নিজেরা খাবার খেতে পারে না। তাই, এই সময় তাদের প্রধান খাবার হচ্ছে  পিজন মিল্ক  বা  ক্রপ মিল্ক। এই খাবার কবুতরের মা-বাবার গলার থলিতে তৈরি করে এবং বাচ্চার মুখে দেয়। 

এই পিজন মিল্ক খুবই পুষ্টিকর হয়ে থাকে, এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অ্যান্টিবডি রয়েছে, যা বাচ্চাকে দ্রুত বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 

প্রথম সাত দিন পরে যখন বাচ্চাগুলি একটু একটু বড় হতে শুরু করে, তখন তাদের জন্য শক্ত খাবার খাওয়ানোর প্রস্তুতি নিতে হবে। এই সময় তাদের জন্য তরল জাতীয় খাবার তৈরি করে দিতে হবে। 

সাধারণত গম, ভুট্টা, বাজরা, কলাই, চাল বা ডাল ভিজিয়ে, ভালোভাবে ব্লেন্ড করে অথবা সিদ্ধ করে নরম করে মিশ্রণটি তৈরি করতে হবে। এতে প্রয়োজনীয় ক্যালরি, প্রোটিন ও ফাইবার থাকে। 

দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাচ্চাদের মুখে মুখে সিরিঞ্জ বা ছোট চামচের মাধ্যমে  এই মিশ্রণ খাওয়ানো যেতে পারে। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, খাবার যেন খুব গরম বা খুব ঠান্ডা না হয়, এবং খুব বেশি তরলও যেনো না হয়, যাতে পড়ে সমস্যা না হয়। 

৪ সপ্তাহ পরে বাচ্চারা ধীরে ধীরে ছোট দানা খেতে শুরু করে। তখন তাদের সামনে ভাঙা চাল, ছোট ভুট্টা, গম, বাজরা, ধান এবং ভিটামিন যুক্ত খাওয়ার পানি রাখতে হয়। মাঝে মাঝে মাল্টিভিটামিন সিরাপ বা মিনারেল সাপ্লিমেন্ট দেওয়া বাচ্চার দৈহিক বৃদ্ধির জন্য অতীব কার্যকরী। 

শেষে, আদর্শ খাবারের সঙ্গে পরিষ্কার পরিবেশ, গরম থেকে সুরক্ষা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাচ্চার দ্রুত ও সুস্থভাবে বড় হওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কবুতরের মাংস খেলে কি কি উপকার হয়?

কবুতরের মাংস প্রাচীনকাল থেকেই অনেক পুষ্টি এবং ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ শালী একটি খাদ্য হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে, আয়ুর্বেদ এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর নানান উপকারিতার কথা বলা হয়েছে। এই মাংস নরম, সুস্বাদু এবং  সহজে হজম হয়, তাই অনেকেই এটিকে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। 

এখন কবুতরের মাংস খাওয়ার কিছু সুবিধা নিয়ে আলোচনা করা যাকঃ

১. উচ্চ প্রোটিনের উৎসঃ কবুতরের মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে, যা শরীরের কোষ গঠনে, পেশি বাড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যারা শরীরচর্চা করেন অথবা দুর্বলতা কাটাতে চান, তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী খাবার। 

২. শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়কঃ এই মাংসে রয়েছে উচ্চমানের ক্যালরি এবং পুষ্টি উপাদান, যা শারীরিক দুর্বলতা দূর করে শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। যারা ঘন ঘন ক্লান্ত হয়ে পড়েন বা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার হিসেবে বিবেচিত হবে। 

৩. যৌন স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ আধুনিক এবং প্রাচীন চিকিৎসাবিদদের মতে, কবুতরের মাংস পুরুষদের যৌন দুর্বলতা কমায় এবং মহিলাদের উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক এফ্রোডিজিয়াক হিসেবেও কাজ করে থাকে। 

৪. হজমে সাহায্য করেঃ এই মাংস সহজে হজম হয় এবং পাকস্থলীতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে না। তাই যারা গ্যাস্ট্রিক বা হজমজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরাও এটি পরিমিত পরিমাণে খেতে পারেন। 

সঠিক পরিমাণে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে রান্না করে খেলে কবুতরের মাংস শরীরের জন্য সত্যিই উপকারী হতে পারে। তবে, যাদের কোলেস্টেরল বা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে, তাদের আগে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

কবুতরের বাচ্চা কত দিনে নিজে খাবার খেতে পারে?

কবুতরের বাচ্চা সাধারণত জন্মের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে একা একাই খাবার খেতে শিখে ফেলে। তবে এই সময়সীমা অনেক সময় ভিন্ন হতে পারে তাদের পরিবেশ, যত্ন এবং কবুতরের জাতের উপর নির্ভর করে থাকে। জন্মের পরের দিনগুলোতে, বাচ্চাগুলো খুব দুর্বল থাকে এবং তাদের চোখ বন্ধ থাকে। 

মা এবং বাবা কবুতর পালাক্রমে তাদের মুখ থেকে  ক্রপ মিল্ক  বা এক ধরনের পিচ্ছিল তরল পুষ্টিকর দুধ বাচ্চাদের মুখে তুলে দেয়, যা তাদের প্রথম খাবার হিসেবে কাজ করে। প্রথম ৭-১০ দিন বাচ্চারা সম্পূর্ণরূপে এই ক্রপ মিল্কের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে। 

এরপর আস্তে আস্তে তাদের শক্ত খাবারের প্রতি আগ্রহ জন্মাতে শুরু করে। মা-বাবা কবুতর তখন তাদের আধা-গলানো খাবার, ভুট্টা এবং অন্যান্য বীজ জাতীয় খাবার দিতে শুরু করেন। 

১৫ দিন বয়সে বাচ্চাগুলো দেখতে এবং নড়াচড়া করতে পারে, এবং প্রায় ২০-২৫ দিনের মধ্যে তাদের পালকও সম্পূর্ণভাবে গজায়। ২৫ দিনের মধ্যে, বাচ্চা কবুতর আস্তে আস্তে খাবার কুড়িয়ে খেতে শুরু করে এবং প্রাপ্তবয়স্ক কবুতরের মতো নিজে থেকে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলে। 

কিন্তু নিশ্চিতভাবে খাবার গ্রহণের জন্য তাদের ৩০ থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তাই এই সময়ের মধ্যে সঠিক যত্ন, পর্যাপ্ত খাবার এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

কবুতরের গড় আয়ু কতো

কবুতরের গড় আয়ু সাধারণত ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। তবে যদি তাদের উপযুক্ত পরিবেশ, যত্ন এবং সঠিক খাদ্য দেওয়া যায়, তাহলে তারা ১২ থেকে ১৫ বছর পর্যন্তও বাঁচতে পারে।

বন্য কবুতরের ক্ষেত্রে, তাদের আয়ু সাধারণত কম হয়ে থাকে। এর কারণ হলো, তারা নানা প্রাকৃতিক ঝুঁকি, শিকারী প্রাণী এবং পরিবেশগত সমস্যার সম্মুখীন হয়।

অন্যদিকে, পালিত কবুতর বা ঘরোয়া কবুতর, সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা পেয়ে থাকে, আর এজন্য তাদের আয়ুকে দীর্ঘায়িত করতে পারে। নিয়মিত পরিচর্যা, পরিষ্কার বাসস্থান, খাদ্য এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা তাদের জন্য খুব প্রয়োজন। 

কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি দুর্বল হয়ে থাকে, তবে তাদের আয়ু কমে যেতে পারে। বিভিন্ন প্রজাতির কবুতরের গড় আয়ু ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। 

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, হোমার কবুতর বা প্রতিযোগিতামূলক কবুতরের গড় আয়ু প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত হতে পারে, কারণ তারা বিশেষ যত্ন ও প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকে।

অন্যদিকে, বন্য কবুতরের আয়ু তুলনামূলকভাবে কম। সুতরাং, কবুতরের গড় আয়ু মূলত তাদের পরিবেশ, যত্ন এবং প্রজাতির উপর নির্ভর করে। ভালো পরিবেশ এবং যত্ন থাকলে, তারা অনেক বছর বাঁচতে পারে। 

শেষে বলা যায় 

কবুতর পালন শুধুমাত্র একটি শখ নয় এটি একটি লাভজনক এবং সৌখিন পেশাও হতে পারে। তবে, এর জন্য প্রয়োজন  ধৈর্য, সঠিক জ্ঞান, যত্ন এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। যদি খাবার, বাসস্থান ও চিকিৎসার দিকে ভালোভাবে খেয়াল রাখা হয়, তাহলে কবুতরগুলি অনেক বছর সুস্থভাবে বাঁচতে পারে এবং নিয়মিত ডিমও দিতে পারে। বিশেষ করে, হোমার জাতের মতো উঁচু প্রজননক্ষম কবুতরদের ক্ষেত্রে লাভের সম্ভাবনা আরও বেশি থাকে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url